শ্রাবণ মাসের শেষের দিকের এক বৃষ্টি ভেজা সকাল । গত কয়েকদিন ক্রমাগত বৃষ্টির পর আজ সকালে বৃষ্টির প্রকোপটা একটু কমলেও সারা আকাশটা জুড়ে কালো মেঘের সম্ভার আর একটা থমথমে ভাব । কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিরবিভাগে এই সময়টায় প্রচুর লোকের সমাগম । দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে ডাক্তার দেখাবার পর রুদ্রশেখর দুহাতে স্ক্রাচে ভর দিয়ে আস্তে আস্তে বেরবার সিঁড়ির মুখে এসে দাঁড়িয়েছেন ঘরে ফিরবার জন্য । হটাৎ আবার জোরে বৃষ্টি নামায় অগত্যা লোকজনের ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হোল বৃষ্টির তোরটা একটু কমার অপেক্ষায় । আর এই লোকজনের দাঁড়িয়ে থাকা ভিড়ের মধ্যে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ভাবে বহু বছর পরে তার সঙ্গে দেখা । একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে চশমার ভারি কাঁচটা ভাল করে মুছে নিয়ে তাকিয়ে দেখে নিশ্চিত হলেন তিনি ভুল করেন নি । ঠিকই দেখেছেন তাকে । বয়েস জনিত কারনে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে । এখন হাতে লাঠি , চোখে চশমা । এখনো ভাল করে দেখলে বোঝা যায় একটা সময়ে সে অপরুপ সুন্দরী ছিল । সে হয়তো তাঁরই মত বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে । মনের দিক থেকে একেবারে নিশ্চিত হয়ে সমস্ত সঙ্কোচ ঝেড়ে ফেলে তার সামনে গিয়ে রুদ্রশেখর বললেন -- ইন্দ্রানী কেমন আছ ? আমাকে চিনতে পারছ ? বহু বছর পর আমি কিন্তু তোমাকে ঠিক চিনতে পেরেছি । কিছুটা অবাক আর বিস্ময় মিশ্রিত দৃষ্টি দিয়ে একটু সময় নিয়ে ইন্দ্রানী বেশ উচ্ছাসিত আর আবেগপ্রবণ হয়ে বললো -- রুদ্রদা তুমি এখানে !! কেমন আছ রুদ্রদা ? সত্যি , তোমার সঙ্গে আমার প্রায় বহু বছর পর দেখা !! তোমার দুপায়ের এই অবস্থা কেন ? রুদ্রশেখর একটা ছোট নিরাশ হাসি দিয়ে বললেন -- পুলিশের হেফাজতে থাকবার সময় এটা তাদের তরফ থেকে আমাকে দেওয়া অত্যাচারের একটা উপহার মাত্র । ইন্দ্রানী একটু গম্ভীর কিছুটা হতাশ হয়ে একটুক্ষণ চিন্তা করে বললো -- আমিতো এমনটা চাই নি , রুদ্রদা । বিশ্বাস কর সেদিনের ক্ষনিকের অভিনয়কে মনের দিক থেকে আমি বাস্তব হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম । ভেবেছিলাম সময় কম থাকার দরুন তোমাকে আমার মনের সব কথা শীঘ্র খুলে বলব , কিন্তু সেই সুযোগ আমি আর পেলাম না । তার আগেই ...... , রুদ্রশেখর কথা থামিয়ে বললেন - আমিও তোমার মনোভাব কিছুটা আঁচ করতে পেরে মনের দিক থেকে বেশ দুর্বল হয়ে তোমাকেও কিছু বলতে চেয়েছিলাম .....। কিন্তু আমরা সেদিন যে মন্ত্রে দীক্ষিত ছিলাম সেই সময় সেটা কোন মতেই সম্ভব ছিল না । পরে অবশ্য উপলব্ধি করি আমি হয়ত সেদিন ভুল করেছিলাম । এখন থাক সেসব পুরোনো কথা , এবার তোমার কথা বলো । এখন কোথায় আছ ? ইন্দ্রানী কিছুটা ক্লান্ত ভাবে বললো -- অনেক চিন্তা ভাবনা করে সংসার ধর্ম আর করলাম না । বর্তমানে কাছেই এক বৃদ্ধাশ্রমে থাকি । মাঝে মাঝে হাসপাতালে আসতে হয় নানা ধরনের ব্যাধিজনিত কারণে । রুদ্রশেখর বললেন -- আমারও ঠিক একই অবস্থা । দীর্ঘদিন জেলে থেকে , বেরোবার পর দেখলাম -- অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে । যে আদর্শ , যে নীতি অনুসরণ করে আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম সে সব ভেঙ্গে চুরমাচুর হয়ে গেছে কিছু নেতাদের মারাত্মক ভুলের জন্য । উল্টে জনসাধারণ আমাদের দলটাকে " ক্রিমিনাল " আখ্যা দিয়েছিল । জেলে থাকাকালীন বাবা-মা গত হয়েছেন । মৃত্যুর সময় তাঁদের পাশে থাকবার সুযোগটুকু পাই নি । এখন এক দুঃসম্পর্কের ভাইয়ের কাছে বোঝা হিসেবে থেকে কোনরকমে দিন কাটাই । ইন্দ্রানী , আজ তোমাকে একটা সত্যি কথা বলি -- জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আমি প্রথমেই তোমাকে খুঁজেছিলাম ... । ইন্দ্রানী বললো -- থাক ওসব কথা , বৃষ্টিটা একটু কমেছে এবার আমি বেরোব । চলে যাবার আগে হটাৎ করে ইন্দ্রানী রুদ্রশেখরকে প্রণাম করে বললো -- যে দিন রাত্রিবেলা পুলিশের দল তোমাকে ধরে নিয়ে গেল সেদিন ইচ্ছে থাকলেও আমার মনের কথা বলা আর তোমাকে প্রণাম করতে পারি নি পুলিশের অমানবিক ব্যবহারের জন্য । সেদিন পুলিশের দল আমাকেও নানা ভাবে হেনস্থা করেছিল । আজ শুধু এটুকুই বলছি ... তুমি ভাল থেকো । রুদ্রশেখর লক্ষ্য করলেন ইন্দ্রানীর দুগাল যেন বৃস্টিতে ভেজা । আস্তে আস্তে ইন্দ্রানী বৃষ্টি ভেজা রাস্তায় জন-অরণ্যে হারিয়ে গেল । একটুক্ষণ পর সম্বিত ফিরে পেয়ে রুদ্রশেখর উপলব্ধি করলেন তাঁর দুটো গাল জলে ভেজা । শ্রাবণের ধারার মত অশ্রুধারা । বহু বছর পর এযেন এক মহা প্রলয়ে একটু সময়ের জন্য জীবনটা একেবারে ওলটপালট হয়ে গেল । খুবই পরিশ্রান্ত অনুভব করায় ধীরে ধীরে হাসপাতালের বড় বারান্দায় এক বেঞ্চিতে গিয়ে বসলেন । স্মৃতির জোয়ারে পিছিয়ে গেলেন অনেক , অনেকগুলি বছর ................
ছোট ঘরটায় বিভিন্ন বয়সের অনেক লোকজন । কিন্তু একেবারে চুড়ান্ত নীরবতা । শুধু বাহিরে বৃষ্টি পরার শব্দ । ঘরটার মাঝখানে একটা ছোট মোমবাতি জ্বলছে । বলাবাহুল্য কোন গোপন আলোচনায় এরা এখানে জড়ো হয়েছে । নিভে যাওয়া বিড়িটাকে আবার ধরিয়ে মহাদেব দা উঠে দাঁড়িয়ে গুরুগম্ভীর গলায় বলা শুরু করলেন -- কমরেডস , আপনাদের নতুন করে বলবার কিছু নেই । আমাদের উপর মহলের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমান পরিস্থিতিতে কার কি দায়িত্ব সেটা জানবার জন্যই আজকের এই মিটিং । আপনাদের সবাইকে প্রথমেই একটা কথা জানিয়ে রাখি আজ আমাদের আন্দোলন শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে নয় সারা ভারতবর্ষ জুড়ে দাবানলের মত ছড়িয়ে পরছে । একটা কথা সবাই মনে রাখবেন গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরে আমাদের এই বিপ্লবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । আমাদের সকলের দায়িত্ব , সাধারন মানুষের মধ্যে আমাদের উদ্দেশ্য , আমাদের নীতি আর আমরা কি চাই সেটা ব্যাপকভাবে গোপনে প্রচার করতে হবে । দেশের সরকার আর পুলিশের দল আমাদের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে তাই সবাইকে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করে আমাদের আদর্শের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে । একটু সময় নিয়ে মহাদেবদা বললেন -- প্রয়োজন হলে শ্রেনী শত্রুদের খতম করতেও দ্বিধা করবেন না । মিটিংএ অনেক বিষয় আলোচনার পর যখন শেষ হলো তখন রাত প্রায় গভীর । ঘরটা ফাঁকা হতে মহাদেবদা রুদ্রশেখরকে বললেন -- আমাদের কাছে খবর আছে তোমাকে ধরবার জন্য পুলিশের দল হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে । তাই পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুমি জঙ্গলের ধারে গ্রামের এক গোপন ডেরায় তিনদিন থেকে জঙ্গলের পথ ধরে পুরুলিয়ায় আমাদের এক নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবে । সময়মত সব খবর তোমার কাছে গোপনে পৌঁছে যাবে । গ্রামের যে গোপন আস্তানায় মানে নকুলদার বাড়িতে তুমি তিনদিনের জন্য থাকবে সেখানে যাতে গ্রামবাসীরা তোমাকে কোনোরকম সন্দেহ না করে সেইজন্য এই তিনদিনের জন্য আমাদের পার্টির নীতিতে গভীর ভাবে বিশ্বাসী কমরেড ইন্দ্রানী তোমার বউ পরিচয় দিয়ে ওখানে থাকবে । নকুলদা সবাইকে বলবে শহর থেকে তাঁর দাদার ছেলে আর ছেলের বউ এখানে বেড়াতে এসেছে ।
বৃষ্টি ভেজা কাঁচা রাস্তা ধরে অনেকটা পথ পায়ে হেঁটে নকুলদার কুঁড়ে ঘরে পৌঁছান গেল । চারিদিকে গাছগাছালিতে ভরা । পিছনের দিকে ছোট ঘরে তাদের থাকবার জায়গা ঠিক করা হয়েছে । নকুলদার থেকে জানতে পারলো ইন্দ্রানী কিছুক্ষণের মধ্যে এখানে এসে পৌঁছাবে ।
ইন্দ্রানীর সঙ্গে পরিচয় হবার পর রুদ্রশেখর বেশ খানিকটা অবাকই হলেন । ইন্দ্রানী উচ্চশিক্ষিতা আর এককথায় অপরূপ সুন্দরী । পার্টিকে ভালবেসে আর পার্টির আদর্শ , নীতিকে সমর্থন করে এই দুরূহ কাজটি করবার জন্য অনেক ঝুক্কি-ঝামেলা জেনেও এগিয়ে এসেছে । ইন্দ্রানীর সঙ্গে পার্টি সম্পর্কিত এবং নানা বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে রুদ্রশেখর এইটুকু বুঝতে পারলেন সে তার কাজের ব্যপারে যতটাই বজ্রকঠিন ততটাই তার মনের আসল রূপটা কমনীয়তা , স্নেহ-ভালবাসায় ভরা এক আটপৌরে বাঙ্গালী রমণীর মত ।
দুটোদিন বেশ সুন্দর ভাবে কেটে গেল । তৃতীয় দিনের সন্ধেবেলায় যথারীতি ইন্দ্রানী কপালে আর মাথায় সিঁধুর লাগিয়ে ( দলের নির্দেশ অনুযায়ী ) রুদ্রশেখরকে বললো -- আজই আমাদের স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় শেষ হয়ে যাচ্ছে । আজ গভীর রাতে পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তুমি এখান থেকে চলে যাবে । কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ আর আমতা আমতা করে বললো -- রুদ্রদা , গত দুদিন বেশ সুন্দর কাটল । আমি তোমাকে ব্যক্তিগত ভাবে কয়েকটি কথা বলতে চাই । কিন্তু কিভাবে শুরু করবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না । আজ তুমি এখান থেকে চলে যাবার আগে আমি তোমাকে আমার মনের কথাগুলি জানাব । এখন শ্রাবণ মাস । বাহিরে অঝোরে বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন । আচমকা একটা বিরাট বাজ পরার শব্দে মনে হল সারা অঞ্চলটা যেন কেঁপে উঠল । ইন্দ্রানী ভীষণ ভয় পেয়ে নিজের অজান্তেই রুদ্রশেখরের একেবারে কাছে এসে তাঁর হাতটা জোরে চেপে ধরল । রুদ্রশেখর এই প্রথম কোন কোমল নারী স্পর্শে সবকিছু ভুলে গিয়ে অন্তরের এক অজানা বাসনায় প্রাকৃতিক নিয়মে ইন্দ্রানীকে আর কাছে টেনে নিয়ে এক গভীর আলিঙ্গনে জড়িয়ে পরল । কতক্ষন এই ভাবে সুখের মুহূর্ত কাটল দুজনে কেই টেরই পেল না । হটাৎ দরজায় টোকা মারার শব্দে দীর্ঘ নিবিড় আলিঙ্গন থেকে মুক্ত হয়ে ছলছল চোখে ইন্দ্রানী বললো -- নকুলদা হয়ত কড়া নাড়ছেন , তোমাকে একটু পরেই বেরিয়ে যেতে হবে । দরজাটা খুলতেই পুলিশের দল হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে রুদ্রশেখরের হাত দুটো পিঠ মোড়া করে বেঁধে এক অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে বললো -- শালা শয়তান , অনেক কষ্ট করে তোর সন্ধান পেয়েছি । কিসের পার্টি করিস তোরা ? শোন , তোদের দলের লোকই আমাদের থেকে মোটা টাকা ঘুষ খেয়ে তোর সব খবর আমাদের জানিয়ে দিয়েছে । স্বামী-স্ত্রীর অভিনয় করছিস ? নে , এবার শ্বশুর বাড়ি চল , ভাল ভাল অনেক খাবার খাওয়াবো ।
বৃষ্টি ভেজা মেঠো পথ ধরে কোমরে দড়ি বেঁধে পুলিশের দল রুদ্রশেখরকে টানতে টানতে নিয়ে গেল । ইন্দ্রানীর দুচোখ দিয়ে বৃষ্টির ধারার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অশ্রুধারা নেমে এলো । মনের কথাটা মনেই রয়ে গেল সেটা আর রুদ্রশেখরকে বলা হলো না ।
স্মৃতির জোয়ারে ভাসতে ভাসতে ডুবে গিয়েছিলেন অনেকটাই গভীরে হটাৎ হাসপাতালের ভিতরে এক কোলাহলের শব্দে ডুবে থাকা অতীত জীবনের স্মৃতি থেকে সম্বিত ফিরে পেয়ে রুদ্রশেখর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলেন বেলা অনেকটাই গড়িয়ে গেছে । ধীর পদক্ষেপে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শ্রাবণ মাসের বৃষ্টি ভেজা রাস্তা ধরে ঘরের দিকে এগোতে লাগলেন । একটা কথাই বারে বারে ঘুরে ফিরে মনে হচ্ছিল তাঁর জীবনটাই ঝড়-জল বৃষ্টিতে ভেজা এক দিশাহীন ক্লান্ত পথিকের মত , রৌদ্রের পরশ এ জীবনে আর হয়তো পাওয়া হোল না ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
৭০ এর দশক । সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এক অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি । সেই সময়কার পটভূমিতে এই গল্পটি লেখা । গল্পের চরিত্র আর বিষয়বস্তু সবটাই কাল্পনিক ।
১২ আগষ্ট - ২০১৭
গল্প/কবিতা:
৪৭ টি
সমন্বিত স্কোর
৪.৫৯
বিচারক স্কোরঃ ১.৫৯ / ৭.০পাঠক স্কোরঃ ৩ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।